বাংলাদেশে রাঙ্গামাটি জেলাধীন পূর্ব ও দক্ষিন অঞ্চলের ভারত ও বার্মা সীমানা পাহাড় থেকে নেমে আসা রাইংখ্যং নদী। এই নদী কর্ণফুলীর নদীর সাথে মিলিত হয়।এই নদীর নাম অনুসারে ৪নং রাইংখ্যং ইউনিয়ন নামে পারিচিত (পাকিস্তান শাসন আমলে)।মূলত ১৯৮৪ সনের উপজেলা পরিষদ গঠন হওয়ার পর হইতে এই ইউনিয়নকে ৩টি ইউনিয়নে ভাগ করা হয়। বর্তমান বিলাইছড়ি উপজেলাধীন রাইংখ্যং নদীর তীরে ৩টি মৌজা নিয়ে ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পারিষদ গঠন করা হয়। ইউনিয়নে বর্তমানে চাকমা, মার্মা, তংচঙ্গ্যা ও বাঙ্গালীদের বসবাস।কেংড়াছড়ি ইউনিয়নটি ছোট নদী সুন্দর উচু বড় পাহাড়ে এবং পাহাড়ী ঝর্না আছে।কেউ যদি উচু পাহাড়ে চূড়াই গিয়ে বর্ষা কিংবা শীতকালে রাঙ্গামাটি জেলা সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখা যায় যাহা বর্ষার মেঘ কিংবা শীতের কুয়াশা মানুষের মনকে উদাসীন করে দেয় এই পাহাড়গুলোর মধ্যে। যেমন বটতুলি মইন, সংঘ বাপ চুগ, জাদি চুগ, পরিহলা মইন এই পাহাড় গুলোতে পাহাড়ীরা ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকে। আবার মৌগল সম্রাটের ইতিহাসের দিকে অনুসরন করলে দেখা যায় যারা এখানে স্থানীয় সমাজে নেতৃত্ব দিতেন তারা খাঁ বংশের উপাধি দিয়ে থাকেন যেমন উদাহারন স্বরুপ ঘুমন খাঁ (চাকমা) পরে তারা বৃটিশ শাসন আমলে রাজার কার্বারী পদে অধীষ্ঠিত হন। যেমন ঘুমন খাঁ ছেলে চন্দ্র মুনি কার্বারী। তাদের বংশধর বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অমর জীব কার্বারী ১২১ নং কেংড়াছড়ি মৌজাটি রাজার তত্ত্বাবধানে ছিল। পরে রাজার বিশ্বস্থ শশাঙ্ক কুমার দেওয়ানকে হেডম্যান পদ দেওয়া হয়। পরে বৃদ্ধ অবস্থায় রাঙ্গামাটিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বর্তমানে মৌজার প্রধান বিপুলেশ্বর চাকমা। তাহার অধীনে মৌজাটি পরিচালিত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস